দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১৩.৫, শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বেড়েছে হিমেল হাওয়া, ফলে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, আজ সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছীতে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।গতকাল রোববার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় এক কিলোমিটারের স্থলে দুই কিলোমিটার হয়েছে।

তাপমাত্রা কম ও হিমেল হাওয়ার প্রভাবে জনজীবনে স্থরিবতা নেমে এসেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। যারা সকাল থেকেই কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার সুকসাগর এলাকার অটোরিকশা চালক লতিফুর রহমান বলেন, আজ সকালে আমাকে অটোরিকশা নিয়ে বের হতে হয়। কিন্তু শীত বাড়ার কারণে সকালে সেটা হচ্ছে না। এতে আয় উপার্জনে ভাটা পড়েছে।

রামনগর এলাকার চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে বের হলেও যাত্রী কম। আবার সন্ধ্যার পরপরই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। আয় কিভাবে হবে।

সদর উপজেলার বোলতৈর এলাকার কৃষক সেলিম রেজা বলেন, আলুর বীজ বপন চলছে। কিন্তু এভাবে শীত বাড়লে বীজ থেকে ঠিকভাবে চারা গজাবে না। এই শীতের মৌসুমে আলু, টমেটো, বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হয়, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

দক্ষিণ নগর এলাকার বেনু রাম সরকার বলেন, অন্য সব মৌসুমের চেয়ে শীত মৌসুম কৃষকের জন্য কষ্টের সময়। বিশেষ করে কুয়াশার প্রভাব যতই বাড়ে, আমাদের কষ্ট সমানভাবে বাড়ে। এখন শীত বাড়ছে, কুয়াশাও পড়ছে। আলু বীজ বপনের মৌসুম চলছে, টমেটোর চারা রোপন শুরু হবে। বোরো ধানের বীজ তলার কাজ শুরু হবে। ফলে এখন থেকে আমাদের টেনশন শুরু হয়ে গেছে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শীত ও কুয়াশা ধীরে ধীরে বাড়বে। ডিসেম্বরে শুরুতেই তীব্র শীত পড়বে এই এলাকায়। আর ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শৈতপ্রবাহ।