পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কয়েক aএকর সরিষার ক্ষেত জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ মৌখামার। এগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ মন মধু উৎপাদন হচ্ছে। স্থানীয় মৌখামারিদের ভাষ্যমতে সরিষারফুল থেকে উৎপন্ন এই মধু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দিলপাশার, খানমরিচ, অষ্টমণিষা ও পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের সরিষা ক্ষেতে প্রায় ১০০ টি খামার রয়েছে। প্রতিটি খামারে ৫০-৬০টি মৌবাক্স রাখা আছে। যেগুলোতে মৌমাছিরা সরিষারফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সঞ্চয় করে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্য অনুযায়ী, খামারিরা ডিসেম্বরের প্রথম থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত মধু সংরক্ষণ করে থাকেন। এ বছর মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১২ টন।
মৌখামারি রমজান আলী জানান, গত দুই মাসে তিনি তার দেড়শ মৌবাক্স থেকে তিনবার মধু সংগ্রহ করেছেন। এতে প্রায় ৬০ মন মধু উৎপাদন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি-কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন, এ বছর ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৬ হাজার ৩১২ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আর এ সরিষারফুল থেকে মৌমাছির সংগ্রহ করা মধুর স্বাদ ও গুণগত মান খুবই উন্নত হওয়ায় স্থানীয় মৌখামারিরা সরিষা মৌসুমে এই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ মৌখামার স্থাপন করে মধু উৎপাদন করে থাকেন প্রতিবছর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন, উপজেলার বিশাল মাঠজুড়ে হলুদ সরিষার খেত যেমন সৌন্দর্য বর্ধন করেছে তেমনি মৌখামারিদের ভ্রাম্যমাণ খামারে মৌচাষ এবং মধু উৎপাদন স্থানীয় অর্থনীতিকে সম্ভাবনাময় করেছে।