মোঃ সাইফুল ইসলাম
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পাঁচ দিনের ছুটি শেষে অফিস আদালত খুললেও এখনো আগের রূপে ফেরেনি রাজধানী ঢাকা। অধিকাংশ জনবহুল সড়কে সাধারণ গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়লেও লোকজনের উপস্থিতি তেমন বাড়েনি। খোলেনি বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ মার্কেট, শপিংমল এবং বিপনিবিতানও। ফলে এখনো অনেকটা নির্ঝঞ্জাট এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই সড়কে চলাফেরা করা যাচ্ছে।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, গুলিস্তান এবং রায়েরবাগ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব জায়গার অধিকাংশ সড়ক ফাঁকা দেখা গেছে। নেই চিরচেনা যানজট এবং মানুষের উপস্থিতি। আন্তঃজেলা রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন বাস সড়কে থাকলেও পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় দীর্ঘসময় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এরমধ্যে মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট রুটের বাসে যাত্রী থাকলেও সাইনবোর্ড, রায়েরবাগ রুটের অনেক বাসকে ৩-৪ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গুলিস্তানে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সময় পরিবহনের বাসের সহকারী হাবিবুর বলেন, সকাল থেকে ২ ট্রিপ দিয়েছি, মাুনষই নাই। তেলের টাকাও উঠেনি। এখন খালি বাস নিয়েই আবার স্ট্যান্ডে ফেরত যাচ্ছি। বিকেলের আগে আর বের হব না। আসলে এখনও ঢাকায় মানুষের ভিড় বাড়েনি। কাল-পরশু নাগাদ মানুষজন ঢাকায় ফিরবে। তখন থেকে হয়ত আবারও যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।
আপ-ডাউনে ২ ট্রিপের টাকাতেও তেল খরচ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রজনীগন্ধা পরিবহনের সহকারী আব্দুর জব্বার। তিনি বলেন, বাসে যাত্রী নেই বললেই চলে। ২ ট্রিপের ভাড়ায়ও তেলের টাকা হয়নি। এক জায়গায় যাত্রীর জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করা যাচ্ছে না। বাসে থাকা যাত্রীরা কথা শোনায়। আবার ৫-১০ টাকা বেশি ভাড়াও দিতে চায় না। তবে বিকেলে অফিস ছুটির পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
অপরদিকে গুলিস্তান এলাকার বড় মার্কেটগুলোও এখনো খোলেনি। একই অবস্থা বিপরীত পাশের স্টেডিয়াম মার্কেটেরও। তবে বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের সড়কের পাশের কিছু দোকান খোলা দেখা গেছে। এছাড়া সড়কের পাশের হোটেল এবং খাবার দোকানগুলো বাদে রাজধানীর অন্যান্য এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও ছিল বন্ধ।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিকসহ টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষ আজ সকালে খুলেছে অফিস-আদালত। সঙ্গে খুলেছে ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজার। ঈদ উপলক্ষ্যে ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রোব, সোম ও মঙ্গলবার) তিনদিন ছিল ছুটি। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। এ কারণে এবারের ঈদের ছুটি হয়েছে পাঁচদিন। ফলে ঈদের আনন্দ পরিবার পরিজনের সঙ্গে ভাগ করতে মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় ফাঁকা হয়েছে রাজধানী ঢাকা। অবশ্য আগামী ২-১ দিনের মধ্যে মানুষজন ফিরলে আবারও কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে এ শহরে।