দুটি নির্বাচন বয়কট করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি পরিস্থিতি দেখবে জাকের পার্টি

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট :

দুটি নির্বাচন বয়কট করলেও অন্য সব সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাকের পার্টি। কিন্তু কোনোবারই একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি দলটি। তবে এবারের নির্বাচনে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা বলেন, এবারের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে প্রতিটি আসনে আলাদা করে প্রার্থী বাছাই ও ভোটের মাঠ তৈরিতে ৮ মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে জাকের পার্টি। তবে ভোটে গেলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলে ভোট থেকে বিরত থাকবে বলেও জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে।

১৯৮৯ সালের ১৪ অক্টোবর আটরশির প্রয়াত পীর মাওলানা মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহর হাত ধরে জাকের পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল। গোলাপ ফুল প্রতীকের দলটি ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ ও ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচন বয়কট করা ছাড়া বাকি পাঁচটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। যদিও কোনও নির্বাচনেই দলের কোনও প্রার্থী একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি। বরং ধারাবাহিকভাবে ভোটের সংখ্যা কমেছে তাদের। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা দলটির।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, পেশিশক্তির প্রভাব বা কালো টাকার প্রভাব চাই না, জাকির পার্টি চায় সৎ মানুষ, ভালো মানুষ, দেশপ্রেমিক। বিবেকবান জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, তাই এই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৮ মাস ধরে সারা দেশের তিনশ’টি সংসদীয় আসনে আসনভিত্তিক নির্বাচনি কাউন্সিল করেছি। কাউন্সিলে আমরা যে প্রার্থী বাছাই করেছি তারা প্রান্তিক মানুষের প্রার্থী। দলীয় নেতাকর্মীদের পছন্দের প্রার্থী।

২১৮টি আসনে এবার প্রার্থী দিলেও ১০ জন বাছাইয়ের প্রথম ধাপে বাদ পড়েছেন। তবে সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামান্য কিছু ভুলে বাদ পড়েছেন, বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের মাঝে কোনও ঋণখেলাপি নেই। এ ধরনের কোনও কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।

নীতিগত দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিল থাকলেও নির্বাচনের আসন নিয়ে দলটি থেকে কোনও প্রত্যাশা রাখছে না জাকের পার্টি।

এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি। আমরা ইসলামের মূলধারাকে ধারণ করি। একই সঙ্গে গণতন্ত্রকেও ধারণ করি। আমাদের মাঝে প্রগতিশীল ধারাটা অত্যন্ত শক্তিশালী। এ জন্য যারা প্রগতিশীল শক্তি, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি তাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শগত একটা মিল ও সমঝোতা রয়েছে। কিন্তু আমরা কোনও জোটের সঙ্গে যুক্ত না। আমরা চাই ধীরে ধীরে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে।

নির্বাচনে যাওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি পরিস্থিতি দেখতে চায় জাকের পার্টি জানিয়ে শামীম হায়দার বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছি। নির্বাচনে যদি কালো টাকার প্রভাব থাকে, পেশিশক্তির প্রভাব থাকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের পক্ষপাতমূলক অবস্থান অব্যাহত থাকে, বিচারিক কাঠামোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের বাস্তবতা থাকে না।’