জেলা প্রতিনিধি,জামালপুরঃ
জাল সনদে নিয়োগ নিয়ে প্রভাষক ও উপাধ্যক্ষ পদে চাকরি করে ৪৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫০ টাকা আত্মসাতের মামলা হয় সম্প্রতি। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় জামালপুরের দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ জুলহাসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক।
সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে গত বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র দেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জামালপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। একই সঙ্গে আদালতের বিচারকের কাছে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে দুদক। অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের স্পেশাল পিপি (দুদক) লুৎফর রহমান রতন। আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর থেকেই গাঢাকা দিয়েছেন উপাধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ জুলহাস।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার ডোয়াইল পাড়া গ্রামের আহসান উল্লাহ জুলহাস জাল সনদ তৈরি করে ২০০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শামছুল হক ডিগ্রি কলেজে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেন। পরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। জাল সনদে চাকরি করে ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫০ টাকা বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন তিনি। এ ব্যপারে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা বাদী হয়ে গত বছরের ২৫ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই আসল-নকল যাচাই করা যায়। সেক্ষেত্রে এই নিয়োগের সঙ্গে জড়িতরাও দায় এড়াতে পারেন না। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ জানান তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার বলেন, বিষয়টি জেনেছেন তিনি। কলেজ গভর্নিং বডির জরুরি সভা ডেকে অভিযুক্ত আহসান উল্লাহ জুলহাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত উপাধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ জুলহাসের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। গ্রামের বাড়িতে গিয়েও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।দুর্নীতি দমন কমিশনের পিপি লুৎফর রহমান রতন বলেন, অভিযোগপত্র পেয়ে আদালতে জমা দিয়েছেন তিনি, যা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য রাখা হয়েছে।