দেশীয় কোচেই মাতবে এবার বিপিএল

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্কঃ 

এ বছর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিলেট স্ট্রাইকার্সের রাজিন সালেহ, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তুষার ইমরান, রংপুর রাইডার্সের সোহেল ইসলাম, দুর্দান্ত ঢাকার খালেদ মাহমুদ সুজন, খুলনা টাইগার্সের তালহা জুবায়ের ও ফরচুন বরিশালে মিজানুর রহমান বাবুল।

দক্ষিণ আফ্রিকার টুর্নামেন্ট এস এ টোয়েন্টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি ও অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের সঙ্গেই বাংলাদেশে চলবে বিপিএল। এতে বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচ পাওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। সেটিই যেন শাপে বর হয়েছে দেশি কোচদের জন্য। দু-একটি দল বিদেশি কোচের দিকে নজর রাখলেও শেষ পর্যন্ত দেশিদের ওপরেই আস্থা রাখতে হচ্ছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি বিগ ব্যাশ শেষ হলে অনেক খেলোয়াড়কে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বিপিএলের দলগুলো। যদিও এসএ টোয়েন্টি ও আইএল টি-টোয়েন্টির জন্য অনেক ক্রিকেটারই আসবেন না। সেই চিন্তা মাথায় রেখে দেশি কোচদের ওপরেই ভরসা রেখেছে সাতটি দল।

এ বছর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিলেট স্ট্রাইকার্সের রাজিন সালেহ, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তুষার ইমরান, রংপুর রাইডার্সের সোহেল ইসলাম, দুর্দান্ত ঢাকার খালেদ মাহমুদ সুজন, খুলনা টাইগার্সের তালহা জুবায়ের ও ফরচুন বরিশালে মিজানুর রহমান বাবুল। বরিশালের কোচ হিসেবে ডেভ হোয়াটমোরকে রাখার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। শেষ পর্যন্ত তারকাবহুল দলটি বিদেশি কোচ রাখার চিন্তা থেকে সরে এসেছে।

দেশি কোচ রাখায় বিষয়কে ভালোভাবে নিয়েছেন অনেকেই। বিপিএলের আয়োজন নিয়ে কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিনের মনে ক্ষোভ থাকলেও এটিকেই ভালো একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি। যেখানে দেশি কোচরা নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবেন বলে তার বিশ্বাস। দেশসেরা এই কোচ বলেছেন, ‘এটি খুবই ভালো দিক যে এরকম একটি বড় জায়গায় কাজ করার সুযোগ হচ্ছে। এখানে তাদের প্রমাণ করার অনেক কিছুই আছে। শুধু কোচ দিলেই হবে না। পুরো দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটা বড় বিষয়। এখানেই কোচরা নিজেদের দক্ষতা, পরিকল্পনা এবং অবস্থান তৈরির ব্যাপারে সুযোগ পান। এটা সামনের দিকে আগানোর জন্য বড় একটি ধাপ। নিজেদেরকে বিশ্বমঞ্চে তোলার জন্য এই ধাপকে কাজে লাগাতে পারেন সকলে। দেশি কোচদের ওপরে বিশ্বাস রাখা হয়েছে, এটি ভালো দিক।’

দুর্দান্ত ঢাকার কোচ ও বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন দেশি কোচ নেওয়া বিষয়ে বলেছেন, ‘দারুণ, আমি মনে করি দারুণ। বিপিএল বিরাট বড় একটা জায়গা আমাদের দেশীয় কোচদের জন্য। এই বছর কেউ কেউ প্রথম হেড কোচ হিসেবে কাজ করবে, তাদের জন্য তো অবশ্যই ভালো সুযোগ। সেই সঙ্গে সহযোগী কোচ যারা আছেন সবাই বাংলাদেশি। অনেকেই সুযোগ পাচ্ছেন ট্রেনার ফিজিও, এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য বড় ধরনের উন্নতি। আমার মনে হয় সবাই দারুণভাবে কাজ করবে এবং আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য এটি।’

দেশীয় কোচ হিসেবে বিপিএলের শুরু থেকেই ভালো করেছেন অনেকে। বিশেষ করে গত আসরে রাজিন সালেহ প্রথম বারের মতো সিলেটকে ফাইনালে তোলেন। আর সালাউদ্দিন তো কুমিল্লাকে চার বার শিরোপা জিতিয়েছেন। এবার তার দল চ্যাম্পিয়ন হলে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়বে। এই হিসেবে দেশীয় কোচদের ওপরে অনেকেই আস্থা রাখেননি। এবারই প্রথম সবগুলো দল দেশীয় কোচ রেখেছে। আর তাদের সাফল্য দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ক্রিকেট ভক্তরা।