দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯ হাজার ৯৬৪

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২১

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬৪ জন, যা দেশে মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন জন। একদিনে দৈনিক শনাক্তের এত সংখ্যা এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৪ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১৫ হাজার ২২৯ জন। এর আগে গতকাল (৪ জুলাই) মারা যান ১৫৩ জন, যা গতকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল। একদিনের ব্যবধানে আগের রেকর্ড ভেঙে মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড হলো দেশে।

এর আগে ৩ জুলাই ১৩৪ জন, ২ জুলাই ১৩২ জন মারা যান। ১ জুলাই মারা যান ১৪৩ জন। তারও আগে ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন এবং ২৭ জুন মারা যান ১১৯ জন। এ নিয়ে টানা ৯ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যু একশ’ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, নতুন শনাক্ত হওয়া ৯ হাজার ৯৬৪ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে শনাক্ত হলেন ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জন। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনায় শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৯ লাখ ছাড়িয়ে গেলো।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮৫ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন আট লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ, এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার দুটি। দেশে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮ লাখ ২০ হাজার ২৬৫টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৯ জন, আর নারী ৫৫ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১০ হাজার ৭৮৫ জন এবং নারী চার হাজার ৪৪৪ জন।

বয়স বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৮৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চার জন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৬ জন, খুলনা বিভাগের ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের আট জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের মারা গেছেন দুই জন।

১৬৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১২৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ জন এবং বাড়িতে ১৫ জন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।