সাজ্জাদ হোসেন:
সারাদেশে প্রাণঘাতী মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে প্রাণ গেছে আরও ৭ জনের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২২ জনে। একই সময়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৭ জন।
অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ হাজার ৪৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক এক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮৭৭ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৪৪ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ৭৩৩ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩ জন, ঢাকার বাইরের ৪ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ৪ হাজার ৫৫ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৭৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৭১ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ লাখ ৭৯৯ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে ৭ জন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
