সাজ্জাদ হোসেন:
প্রাণঘাতী মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছেন দেশের সব বয়সের মানুষ। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৪২ জন। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৪২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬১২ জন ও ঢাকার বাইরের ২ হাজার ১৩০ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ২ জন ঢাকার আর ৫ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৪ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৮ হাজার ১৯৪ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭০ জন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৬৮৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪০১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ হাজার ১০৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৯৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ হাজার ৪১০ জন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৪ হাজার ৬৮৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৫ জন।
ঢাকাসহ সারাদেশে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৮০০ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৮২৬ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৪ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।