সাজ্জাদ হোসেন:
প্রাণঘাতী মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৪ জন ডেঙ্গুরোগী।
বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৩৬০ জন রোগী। আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৭৩৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৭১ এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৪৬৩ জন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪ জন আর ঢাকার বাইরের ১৩ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ২ হাজার ৫৯১ জন আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৯৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৪৭৭ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৮৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪২ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।