সাজ্জাদ হোসেন:
প্রাণঘাতী মশার কামড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে প্রাণঘাতী মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে একদিনে প্রাণ গেছে আরও ১০ জনের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৬৬০ জন। আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল রোববার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৬৬০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৪৯ জন ও ঢাকার বাইরের ২ হাজার ১১১ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৬ জন ঢাকার আর ৪ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৪ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৮ হাজার ৮৮৩ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮১ জন ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৬৯১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪০৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ হাজার ৬৩০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭১৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৯১৭ জন।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৩০৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৫ হাজার ৩৯৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১২ জন।
ঢাকাসহ সারাদেশে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৮২০ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৭৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৬ হাজার ৬৪ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।