সাজ্জাদ হোসেন:

সারাদেশে প্রাণঘাতী মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে কেড়ে নিয়েছে আরও ১০ জনের প্রাণ। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮০ জনে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৬ হাজার ২৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন। আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৫৫ জন, এবং ঢাকার বাইরের বাসিন্দা ১ হাজার দুজন।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪ জন, ঢাকার বাইরের ৬ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৬৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ২৮৭ জন, আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৪৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৫ জন।

১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৭ হাজার ৬৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৭০ হাজার ৮১৭ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।