দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪

সাজ্জাদ হোসেনঃ 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘প্রতীকী অবরোধ’ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের’ ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বেলা ১১টায় অবরোধ তুলে নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালে নতুন প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তাদের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদেরও দেখা যায়নি। এর আগে গত সোমবার সকাল নয়টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রতীকী অবরোধ চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, ক্যাম্পাসে একজন বৈধ শিক্ষার্থী থাকার জায়গা পায় না, পড়ালেখার জন্য টেবিল-চেয়ার পায় না। অন্যদিকে কিছু অবৈধ শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় থেকে হলে থাকছে। ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মাদকমুক্ত করতে হবে। যারা অছাত্র রয়েছে তাদেরকে সরিয়ে দিতে হবে। প্রশাসন আমাদের বলেছিল পাঁচ কর্মদিবসে অছাত্রদের বের করে দেবে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঢাকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছে। এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি করবে? হল প্রশাসন যদি কাজ করে, তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু তারা কেউ কাজ করছেন না।

অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমেনা ইসলাম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনের প্রতিবাদে গণজমায়েত ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।