মাদারীপুর প্রতিনিধি:
দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা শুনে বাবা-মাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্পেন প্রবাসী কোহিনুর আকন ও তার শ্যালকদের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের ওপরও হামলা চালায়। শনিবার (২৪ জুন) শিবচর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চরশ্যামাইল এলাকায়। এ ছাড়াও জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বড় ভাইকে একের পর এক হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্পেন প্রবাসী কোহিনুর আকন দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বসবাস করে আসছে। দু’বছর পূর্বে ওই প্রবাসী বাংলাদেশে আসে এবং দ্বিতীয় বিবাহ করে। বিগত কয়েক মাস ধরে স্পেন প্রবাসী কোহিনুরের সঙ্গে তার বাবা-মা ও ভাইয়ের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কোহিনুর আকন তার শ্যালকদের নিয়ে বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের উপরও হামলা চালায়।
এলাকাবাসীরা জানান, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে কোহিনুর আকন তার বাবা-মাকে মারধর ও অপমান করে। যা আমরা এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করি। আর এই প্রতিবাদ কেন করলাম? সে জন্য কোহিনুর আকন ও তার স্ত্রী আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। কোহিনুর আকন তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি। কতটা নিম্নশ্রেণির লোক হলে শ্বশুর বাড়ির লোকদিয়ে নিজের বাড়িতে হামলা চালায়।
ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদ আকন জানান, স্পেন প্রবাসী কোহিনুর আকন আমার আপন ছোট ভাই। আমরা অনেক কষ্ট করে ভাইকে বিদেশ পাঠিয়েছি। হঠাৎ করে ভাই আমার পরিবর্তন হয়ে গেল। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আমার ছোট ভাই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন দিয়ে আমার বাবা-মাসহ আমাকে মারধর করে। আমরা প্রায় ৩ দিন শিবচর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখন আমাদের মামলা দিয়ে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে।
কোহিনুর আকনের স্ত্রী বলেন, আমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুর এক হয়ে আমার স্বামীর সম্পত্তি জোরদখল করার চেষ্টা করছে। আর তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
স্পেন প্রবাসী কোহিনুর আকনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
শিবচর থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, কোহিনুর আকন তার বাবা-মাকে মারধর করার কথা শুনেছি। তবে তার বাবা-মা ছেলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেননি। পরে কোহিনুর আকনের স্ত্রী মাদারীপুর কোর্টে তারই ভাসুরসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তধীন আছে।