দ্রুত সময়ে ভারত থেকে দেশে আসছে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সেলিনা আক্তার:
ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটরিং করার জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমন খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। গত দুদিনে শ্রেণিভেদে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০-৩৫০ টাকায় উঠে যায়। একইসঙ্গে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ শ্রেণিভেদে ১০০ টাকা বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ হতাশা বাড়তে থাকে। এরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রাজধানী ঢাকাসহ ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি ও মজুদ রাখায় কয়েকশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।তবে পেঁয়াজের বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী নিউজ পোস্টকে বলেন, মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরের ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা আছে। সেগুলো যাতে ছাড়া হয় সে বিষয়ে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ে এসব পেঁয়াজ দেশে আসবে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আমাদের দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজ পোস্টকে বলেন, ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। কীভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
দেশের সর্বত্র যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না- উল্লেখ করে তিনি ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।