ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র আশুরা পালিত

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইসলামের ইতিহাসে মহররম মাসের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন। দিনটি আশুরা হিসেবে পালন করে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়। কারবালার বিয়োগান্তক স্মৃতি স্মরণে শোকের আবহে পালিত হয় পবিত্র আশুরা। প্রতিবারের মতো এবারও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাজধানীতে মহররমের ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে। এতে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের ঢল নামে।

আজ শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় রাজধানীর লালবাগের হোসেনি দালান থেকে মিছিল শুরু হয়ে জিগাতলায় গিয়ে শেষ হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলে আসা শিয়া মুসলমানরা বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনি তোলেন। হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মিছিলে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারও চোখে পড়ে।


মিছিলটি হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর-নিউমার্কেট হয়ে জিগাতলায় গিয়ে শেষ হয়। শিয়া মুসলমানরা তাজিয়া মিছিলে শোকের প্রতীক হিসেবে খালি পায়ে পুরুষরা কালো পাঞ্জাবি-পাজামা এবং নারীরা কালো কাপড় পরে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনিতে মিছিল করেছে।

মিছিলে দেখা গেছে, ভক্তদের হাতে লাল, সবুজ, কালোসহ বিভিন্ন রঙের নিশান, মাথায় শোকের কালো কাপড়। প্রায় এক হাজার নিশান এবারের এই তাজিয়া মিছিলে উড়ানো হয়। কারবালার স্মরণে কালো চাঁদোয়ার নিচে কয়েকজন বহন করেন ইমাম হোসেনের প্রতীকী কফিন। এছাড়া শত শত মানুষকে মিছিল দেখার জন্য বাসার ছাদ ও রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।


মিছিলে অংশ নেওয়া শাহরিয়ার নামে এক ব্যক্তি বলেন, শত শত বছর ধরে ইমাম হোসেন (রা.) শহীদ হওয়ার দিনটি উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এটি মূলত শোক মিছিল। তার মৃত্যুতে শোক জানাতেই প্রতিবছর তাজিয়া মিছিলে অংশ নেই।


নজরুল নামে আরেকজন বলেন, প্রতিবছরই তাজিয়া মিছিলে অংশ নেই। সবাই এ মিছিলে অংশ নিয়ে শোক জানাই।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রথমবারের মতো এ তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণ নিয়েছি। খুব ভালো লাগছে।

জানা যায়, মিছিল শেষে ভক্তরা যে যার মতো চলে যাবে এবং অভ্যন্তরীণভাবে রওজাগুলোতে অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া আজ সন্ধ্যায় হোসেনি দালানে শামে গরিবার মজলিশ ও বয়ান হবে। এছাড়া আজ থেকে চল্লিশ দিন পর ইমাম হোসেনের চল্লিশার অনুষ্ঠান হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে।