ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় নিহতদের ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের টোল প্লাজায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকে নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে ই-মেইল যোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের টোল প্লাজায় অপেক্ষমান যানবাহনকে বেপারী পরিবহনের একটি বাস অতর্কিত আঘাত করায় ছয় জন নিহত হন। সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানুষের জীবন ধারণের অধিকার অন্যতম একটি মৌলিক অধিকার। বাস মালিক, ড্রাইভার, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং হাইওয়ে পুলিশের চরম অবহেলার কারণেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এসব মৃত্যু ঘটেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে— বেপারী পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না। ড্রাইভারের লাইসেন্সের মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়া ড্রাইভার স্বীকার করেছেন তিনি ক্যানাবিস নামক মাদক সেবন করতেন। কাজেই এটি স্পষ্ট যে বাসের ফিটনেস প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এবং ড্রাইভারের প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারণে ৬ জন মানুষের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। বাসের ফিটনেস সনদ উত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বাসের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা এবং সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব ছিল বাসটির ফিটনেস আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করা এবং সংশ্লিষ্ট ড্রাইভারের বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা সেটাও নিরীক্ষা করা।
অন্যদিকে বাসের মালিকও ফিটনেস-বিহীন বাস রাস্তায় নামিয়ে এবং বৈধ লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভারকে দিয়ে বাস চালিয়ে চরম বেআইনি এবং অবহেলা করেছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, কাজেই সবার পারস্পারিক অবহেলার প্রতিফল এই দুর্ঘটনা যার কারণে ৬ জন ব্যক্তি নিহত হল। যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা তাদের একান্ত কর্তব্য ছিল। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্টদের চরম অবহেলার কারণেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের অবহেলায় সংঘটিত দুর্ঘটনার কারণেই মৃত ব্যক্তিরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেন। ফলশ্রুতিতে তাদের পরিবার সারা জীবনের জন্যই বঞ্চিত হলো। কাজেই তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা করে পাওয়ার হকদার। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফিটনেস বিহীন সকল যানবাহনের তালিকা তৈরি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে গৃহীত অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশদাতাকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। নোটিশ গ্রহীতারা ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।