ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে ফেল ৩৪১ শিক্ষার্থী, পাসের হার ৮৭.১৪
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
রুমা আক্তার:
গতবারের মতো এবারও রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফলে ভরাডুবি হয়েছে। স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের ৩৪১ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। মোট ২৫৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২২১৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সবাই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া এইচএসসির প্রাতিষ্ঠানিক ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কলেজ ভিত্তিক ফলের সারসংক্ষেপে দেখা গেছে, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৬৫৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ৫৪৮ জন পাস করেছেন। ফেল করেছেন ১০৬ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ৪৫৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৬২ জন পাস করেছে। ফেল করেছেন ৯১ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৪৫০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ১৩০৬ জন। ফেল করেছেন ১৪৪ জন।
এ ছাড়া ২৫৪৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১১২ জন ছেলে এবং ৪৩১ জন মেয়ে। এদের মধ্যে ২২১৬ জন পাস করেছে (ছেলে ১৮৪০ জন, মেয়ে ৩৭৬ জন)। সে হিসাবে পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন। এর মধ্যে ৬৬ জন ছেলে ও ১৩ জন মেয়ে। এ ছাড়া জিপিএ-৪ পেয়েছে ১০৭৭ জন, জিপিএ-৩ পেয়েছে ৮৭৩ জন এবং জিপিএ-২ পেয়েছে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী।
অধ্যক্ষ বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ, রেজাল্ট মোটামুটি ভালোই হয়েছে’
এইচএসসির ফলে কেন এত বিপর্যয় হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোবাশ্বের হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাস্তবতা হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও আমরা খুব সাধারণ মানের ছাত্রদের ভর্তি করি। আমাদের আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন– ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ তারা জিপিএ-৫ ও বাছাই করে ভর্তি করে। আমাদের এখানে খুব সাধারণ মানের ছাত্র ভর্তি করি। যার ফলে রেজাল্ট এমন হয়েছে। তারপরও আমরা মনে করি আলহামদুলিল্লাহ রেজাল্ট খারাপ না, মোটামুটি ভালোই হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে ফল আরও ভালো করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অবশ্য এর আগে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায়ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে ৩৬১ শিক্ষার্থী ফেল করেছিলেন। সেবছর পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র ২৮ জন শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সূচি অনুযায়ী মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়।