নদী পাড়ের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তি

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৫

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

 

পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। শনিবার কর্মস্থলগামী এসব মানুষের ঢল নামে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। তাদের বয়ে আনা অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ফেরিঘাট এলাকায় নদী পাড়ের অপেক্ষায় আটকা পড়ে অসংখ্য যানবাহন। তীব্র রোদ ও প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।

ঈদের পর গত কয়েকদিন মানুষ কর্মস্থলে যাওয়া শুরু করলেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি, লঞ্চ ও মহাসড়কে যানজট না থাকায় সহজেই ঘাট পার হয়ে কর্মস্থলে যেতে পেরেছে যাত্রীরা। তবে শনিবার দৌলতদিয়া ঘাটে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। সকাল থেকেই ঢাকাগামী যানবাহনের স্রোত শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। শনিবার দুপুরের দিকে নদী পাড়ের অপেক্ষা যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়।

এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের প্রবেশ পথের টিকিট কাউন্টারে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এ সময় প্রতিটি লঞ্চ সক্ষমতার চেয়ে বেশী যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা যায়।

ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী শামীম হোসেন জানান, ঈদে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। ছুটি শেষ, তাই বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে এসেছি। সবখানেই মানুষের ভিড়, তবে খুব বেশী ভোগান্তি হয়নি।

রাজবাড়ীর পাংশা থেকে ঢাকার সাভারগামী পোশাকশ্রমিক শাবানা খাতুন জানান, কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ফেরি পারাপার বাসে রওনা দিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ফেরিঘাটের সিরিয়ালে বসে আছি। আমাদের বাসটি এই মাত্র ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে। তীব্র গরমে বাসের মধ্যে বসে থেকে অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

মাগুরা থেকে ঢাকায় কর্মস্থলগামী শিহাব আহমেদ জানান, সব অফিস একসঙ্গে ছুটি শেষ হওয়ায় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। ৪০ মিনিটেরও বেশী সময় আমাদের পরিবহনটি সিরিয়ালে আটকে আছে। সময় হয়ত খুব বেশী না, তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে দুপুরের দিকে একসঙ্গে অনেক যানবাহন ঘাটে আসায় সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে। নৌরুটে ১৭টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকে পড়া যানবাহনগুলো পারাপার করা সম্ভব হবে।