নবাব শেখের সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ

প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

ভাইরাল হওয়ার নেশায় মানুষ যে কত কিছু করেন! পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নবাব শেখের বানানো চলন্ত খাটই তার প্রমাণ। জানা যায়, পুরস্কারের আশায় চলন্ত খাটটি বানিয়েছিলেন নবাব শেখ। কিন্তু পুরস্কার তো মিললই না উলটে পড়তে হল বিপদে। বিশেষ ওই চলন্তখাট নিয়ে গেল পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে বুধবার (৯ এপ্রিল) বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নবাব শেখ প্রায় দেড় বছরের পরিশ্রমে এই খাট-গাড়িটি বানিয়েছেন। ঈদের দিন একটু ‘ট্রায়াল’ দিতে বেরিয়েছিলেন নিজের বিচিত্র এই গাড়িটি নিয়ে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করলে মুহূর্তে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি বিছানার মাঝখানে বসে আছেন, আর তোষক, চাদর, বালিশসহ পুরো খাটটাই চলছে। ঠিক যেন একটা ‘চলমান খাট’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি একটি সংবাদমাধ্যম ভাইরাল ভিডিও ডাউনলোড করে তথ্য ‘বিকৃত’ করে সংবাদ প্রকাশ করে। এ নিয়ে কপিরাইটের মারপ্যাঁচে পড়ে নবাব শেখের ফেসবুক পেজ। এক পর্যায়ে নবাবের পেজটি বন্ধ করে দেয় ফেসবুক।

অভিযোগ জানাতে থানায় এলে পুলিশ বলে, গাড়িটি বেআইনি। মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী কোনো গাড়িকে এভাবে বদলে ফেলে চালানোর অনুমতি নবাব শেখের নেই।

এরপর ভীত হয়ে নবাব গাড়িটি পরিবারের গুদামে রেখে দেন। তবুও মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে গাড়িটি থানায় নিয়ে আসে।

প্রায় দেড় বছর ধরে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে একে একে ইঞ্জিন, স্টিয়ারিং, তেলের ট্যাংক আর স্থানীয় একটা গাড়ি সারানোর কারখানা থেকে একটি গাড়ির খাঁচাও কেনেন নবাব। চলমান-খাট বানাতে স্ত্রীর কিছু গয়না বিক্রি করতে হয়েছে তাকে।

মারুতি ‘ওমনি’ গাড়ির চেসিসের ওপর বসানো কাঠের কাঠামোতে ৮০০ সিসি ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। বাড়ির পাশেই কাঠমিস্ত্রি, গাড়ির মেকানিকদের সহায়তায় গাড়িটি তৈরি করেন নবাব।

নবাব জানান, তার মন খারাপ। একদিকে ফেসবুক আইডি বন্ধ থাকায় ভাইরাল ভিডিও থেকে আয় হচ্ছে না। অপরদিকে শখের গাড়িটি হাতছাড়া।