নবীকন্যা উম্মে কুলসুম (রা.) এর দাম্পত্য জীবন যেমন ছিল’
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

ডেস্ক রিপোর্ট:
হজরত উম্মে কুলসুম (রা.) ছিলেন রাসূল সা.-এর তৃতীয় কন্যা। রাসূল সা.-এর নবুয়ত লাভের ছয় বছর আগে তার জন্ম হয়েছিল। রাসূল সা. নবুয়ত লাভের আগে আবু লাহাবের পুত্র উতবার সাথে রুকাইয়া এবং তার দ্বিতীয় পুত্র উতাইবার সাথে উম্মে কুলছুমের বিয়ে দেন। তবে স্বামীর সংসারে যাওয়ার আগেই তাদের তালাক হয়ে যায়
নবুয়ত লাভের পর যখন আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর নিন্দায় সূরা লাহাব নাজিল হলো তখন আবু লাহাব ও তার স্ত্রী দুই সন্তানকে বললো, তোমরা মুহাম্মদের মেয়েদের তালাক দিয়ে বিদায় না করলে তোমাদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবো আমরা। মা-বাবার কথায় উতবা ও উতাইবা নবীজি সা.-এর দুই কন্যাকে তালাক দেয়।
এরপর রুকাইয়াকে উসমান রা.-এর সঙ্গে বিয়ে দেন মহানবী সা.। দ্বিতীয় হিজরিতে রুকাইয়া ইন্তেকাল করেন। স্ত্রীর শোকে উসমান রা. বিমর্ষ হয়ে পড়েন। তাকে বিমর্ষ দেখে একদিন মহানবী সা. বললেন, উসমান তুমি এতো বিমর্ষ কেন? তিনি বললেন, এমন বিমর্ষ না হয়ে কীভাবে স্বাভাবিক থাকবো আমি। আমার ওপর যে বিপদ এসেছে তা সম্ভবত আর কারো ওপর আসেনি। আমার স্ত্রী রাসূল সা.-এর কন্যা ইন্তেকাল করেছেন, এতে আমার কোমর ভেঙে গেছে। রাসূল সা.-এর সঙ্গে আমার যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল তা ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন আমার উপায় কী? তাঁর কথা শেষ না হতেই রাসূল সা. বলে উঠলেন, জিবরিল আ. আল্লাহ কাছ থেকে আমাকে হুকুম দিয়েছেন, যেন আমি তোমাকে রুকাইয়ার সমপরিমাণ মোহরের ভিত্তিতে উম্মু কুলছুমকে তোমার সাথে বিয়ে দেই। তৃতীয় হিজরির রবিউল আওয়াল মাসে হজরত উসমান রা.-এর সঙ্গে উম্মে কুলছুম রা.-এর আকদ সম্পন্ন হয়। আকদের দুই মাস পরে জামাদিউস সানী মাসে তিনি স্বামীর সংসারে যান। তিনি কোনো সন্তানের মা হননি।
একটি বর্ণনায় এসেছে, রুকাইয়া ইন্তেকালের পর উমার ইবনুল খাত্তাব রা. তার মেয়ে হাফসাকে উসমানের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ থাকেন। একথা জানতে পেরে রাসূল সা. ওমর রা.-কে বলেন, আমি হাফসার জন্য উসমানের থেকে ভালো স্বামী এবং উসমানের জন্য হাফসার চেয়ে ভালো স্ত্রী তালাশ করবো। তারপর তিনি হাফসাকে বিয়ে করেন এবং উম্মে কুলসুমকে উসমাসের সাথে বিয়ে দেন।উম্মে কুলসুমের ইন্তেকালের পর রাসূল সা. বলেন, আমার যদি দশটি মেয় থাকতো তাহলে একের পর এক তাদের সকলকে উসমানের সাথে বিয়ে দিতাম।
স্বামী উসমানের সাথে ৬ বছর কাটানোর পর হিজরী ৯ম সনের শাবান মাসে হজরত উম্মু কুলসুম রা. ইন্তেকাল করেন।