নবীজি সা.-এর হিজরতের সময় মদিনায় যে ৩ ইহুদি গোষ্ঠীর বসবাস ছিল

প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৪

ইসলামিক ডেস্ক:

রাসূল সা. মদিনায় হিজরতের সময় সেখানে তিন শ্রেণীর মানুষের বসবাস ছিল। একশ্রেণী ছিল মুসলমান আনসার সাহাবি। অপর শ্রেণী ছিল পৌত্তলিক, যারা আগে থেকেই মদিনায় অবস্থান করছিল। তৃতীয় শ্রেণী ছিল ইহুদি।

এই হুইদিরা রোমীয়দের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হেজাযে আশ্রয় নিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে এরা ছিল হিব্রু। হেজাযে আশ্রয় নেওয়ার পর চাল-চলন, কথাবার্তা ও পোশাক পরিচ্ছদে তাদেরও আরব মনে হতো। মদিনায় বসবাস শুরুর পর তারা তাদের গোত্র ও সন্তানদের নামকরণও করতো আরবদের মতো। আরবদের সঙ্গে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কও স্থাপিত হয়েছিল। এসবের পরেও তারা নিজেদের বংশ-গৌরব নিয়ে অহংকার করতো। তারা নিজেদের ইসরাঈলী অর্থাৎ, ইহুদি হওয়ার কারণে গর্ববোধ করতো। আরবদের মনে করতো নিকৃষ্ট।

আরবদের উম্মি বলে গালি দিতো। উম্মি বলে তারা বোঝাতে চাইতো আরবরা নির্বোধ, মুর্খ, নিচু ও অছ্যুত। তারা বিশ্বাস করতো আরবদের ধন-সম্পদ তাদের জন্য বৈধ। যেভাবে ইচ্ছা ভোগ করা যাবে।

ভাগ্য গণনা, জাদু, ঝাঁড়ফুঁক এসবই ছিল ইহুদিদের ধর্ম বিশ্বাস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অংশ। এসবের মাধ্যমে তারা নিজেদের জ্ঞানী, পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক নেতা মনে করতো।

১. বনু কাইনুকা। এরা ছিল খাযরাজ গোত্রের মিত্র। এরা মদিনার ভেতরেই বসবাস করতো।

২. বনু নাযির।

৩. বনু কোরাইযা। এ দুটি গোত্র ছিল আওস গোত্রের মিত্র। মদিনার শহরতলী এলাকায় বসবাস করতো এরা।

ইহুদিরা ইসলামের প্রতি শত্রুতা পোষণ করতো। এর অন্যতম কারণ ছিল তারা চেয়েছিল নবী মুহাম্মদ সা. তাদের বংশোদ্ভূত কেউ হোক। কিন্তু তা না হওয়ায় তারা নিজেদের আভিজাত্যের কোনো গুরুত্ব পাচ্ছিল না। তাই মদিনায় নবীজির আগমন, ইসলামের সূচনাকাল থেকেই তারা মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করেছিল। তবে তাৎক্ষণিক তারা তাদের বিদ্বেষ প্রকাশ করেনি। একটু দেরিতে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করেছিল এবং তা প্রকাশ করেছিল।