নরসিংদীতে নিখোঁজের ৪ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল শিশুর মরদেহ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের চারদিন পর মাইশা আক্তার নামে সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ঘটনায় জালাল শেখ (৪৯), স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লাল নামে ৩ জনকে আটক করেছে র্যাব। আটককৃতদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালি গ্রামে। পলাশে তারা একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। নিহত মাইশা আক্তার জয়নগর গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে। শিশুটি ২১ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল।
ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বেলায়েত হোসেন ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জয়নগর গ্রামের শীলবাড়ির মোড়ের মেহেদী হাসানের মেয়ে মাইশা শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সেই রাতেই পলাশ থানায় জিডি করে মাইশার বাবা মেহেদী হাসান।
পরে এ ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলে র্যাব কর্তৃক জালালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ সকালে নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কি কারণে মাইশাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি। এ ঘটনায় জালাল শেখ, স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লালকে আটক করেছে র্যাব।
পলাশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু মাইশা নিখোঁজের ঘটনায় ডাংগা থেকে জামাল শেখ নামে বাড়ির ভাড়াটিয়াকে র্যাব আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে ছাদে সেপটিক ট্যাংক থেকে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমরা মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া জালাল শেখ, স্ত্রী মাহফুজা ও ছেলে বিল্লালকে র্যাব আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করছে। শিশুটিকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা আটকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারব।