কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে হাড়কাঁপানো শীতে সূর্যের দেখা নেই। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। বইছে ঠাণ্ডা বাতাস।কুড়িগ্রাম আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও অনবরত বয়ে চলা হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তা হয়নি। বরং বেড়েছে ঠাণ্ডার অনুভূতি।
পৌষের শেষ থেকে মাঘের প্রথমার্ধে গত কয়েকদিন ধরে দিন-রাতের বেশির ভাগ ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। সূর্যের দেখা নেই টানা কয়েকদিন। অতঃপর আকাশ মেঘলা থাকায় আজও এর দেখা মেলেনি। কুয়াশা তেমন একটা নেই। তবে শিশির ঝরছে বৃষ্টির মতো।
ধারণা করা হচ্ছিল, আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় ঘটেছে উল্টো। ঠাণ্ডায় লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। খেটে খাওয়া নিম্ন-আয়ের লোকজনের ভোগান্তি সীমাহীন হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঠাণ্ডা মোকাবেলায় স্থানীয়রা যতটা সম্ভব গরম পোশাকে আবৃত হয়েছেন। কর্মব্যস্তরা বেরিয়ে পড়েছে কাজে। শিশু-বৃদ্ধরা গোল হয়ে বসে আগুন পোহাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় তীব্র এই শীতেও স্কুলে যেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
রোগের ঝুঁকি ও শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়ছে
এই শীতে রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও প্রবীণরা। সেই সঙ্গে শীতবস্ত্রের চাহিদাও বাড়ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘এরই মধ্যে উপজেলার ১ পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে শীতার্তদেরকে ৮ হাজার ৮০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ পেলে তা বিতরণ করা হবে।’
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেশি। তবে হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার অনুভুতি তীব্র। এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।’