চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার তিন কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেন চোরাচালানের ঘটনায় নাইজেরিয়ার ফুটবলার নাগিন অনাবেলের সম্পৃক্ততা মিলেছে। তিনিই এই চোরাচালানের ‘নাটের গুরু’। কোকেনসহ গ্রেপ্তার বাহামার নাগরিক স্ট্যাটিয়া শানতাই রোলের বাংলাদেশে আসার টিকিটও কেটে দেন ফুটবলার নাগিন। চট্টগ্রামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ জুলাই ওই মাদকসহ গ্রেপ্তার হন স্ট্যাটিয়া শানতাই। এই ঘটনায় হাসান তারেক নামে ঢাকার এক ট্রাভেল এজেন্সি মালিকের নাম এসেছে। এই হাসানের সঙ্গে ফুটবলার নাগিনের যোগাযোগের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর ইন্সপেক্টর লোকাশীষ চাকমা বলেন, ‘কোকেন আটকের ঘটনায় তিন বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি এক বাংলাদেশির সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনায় নাটের গুরু নাইজেরীয় ফুটবলার নাগিন অনাবেল। তিনি বাংলাদেশে এসে অনেক দিন ফুটবল খেলেছেন।’ এ ঘটনায় সাতজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানান তিনি, যার মধ্যে ছয়জনই বিদেশি।
কোকেন চোরাচালানে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে হাসান তারেক বলেন, ‘২০১৮-১৯ সাল থেকে ফুটবলার নাগিনের সঙ্গে পরিচয়। আমার কাছে প্লেনের টিকিট নিতেন তিনি। কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে একটি টিকিট কিনতে চান। তাঁর লোক এসে টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে যায়। নাগিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এটুকুই।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, কোকেনের চালানটি ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন স্ট্যাটিয়া শানতাই রোলে। ঢাকার মুসাফির এয়ার ট্রাভেলস এজেন্সি থেকে কেনা তাঁর বাংলাদেশে আসার টিকিট। আফিজ ওহাব ও ইংহুকাউন সাউআগইউ নামে দুই নাইজেরীয় টিকিটের দাম পরিশোধ করেন। তারা দু’জন নাগিনের পরিচিত। মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা পরে আফিজ ওহাব ও ইংহুকাউনকে গ্রেপ্তার করেন।
নাগিন বাংলাদেশে ফুটবল খেলতে আসেন ২০১৮ সালে। বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলে ২০২২ সালে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।