নানা হুঁশিয়ারি দিয়ে আবারও আন্দোলনে এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
নানা হুঁশিয়ারি দিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে অবস্থান নিয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন সদ্য প্রকাশিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে বোর্ডের নিচে অবস্থান নিয়ে এই আন্দোলন শুরু করেন তারা। তাদের ইচ্ছে করেই ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, মাধ্যমিকের ফলাফল অনুযায়ী এইচএসসির ফলাফল দেওয়া হোক।’ একদফা দাবি না মানলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরেও বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলে, ‘গত বৃহস্পতিবার আমরা আমাদের এক দফা দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যান স্যার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। সেদিন তিনি আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাই আজ আমরা সকাল থেকে এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের যে ফলাফল দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। পরীক্ষার খাতা না কেটে বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া ফলাফল দিয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরেও গণহারে ইংরেজিতে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাইকে পাস করানো হয়েছে অথচ চট্টগ্রাম বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। এসময় সঠিকভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কোনো শিক্ষার্থী একটা বিষয়ে খারাপ করলে সম্পূর্ণ ফলাফল ফেল আসবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে কারও কোনো হাত নেই। যে যেমন পরীক্ষা দিয়েছে তেমন ফলাফলই পেয়েছে। তারপরও যদি কারও মনে হয় যে ভালো পরীক্ষার পরও ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। সেক্ষেত্রে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করার সুযোগ আছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে খাতা যাচাই-বাছাই করে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আমাদের জানিয়েছে। তবে নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। পরীক্ষা খারাপ দিয়ে যদি ফলাফল খারাপ করে তাহলে আমাদের তো কিছু করার নেই।