নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে বিএনপি-পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ, নেতাকর্মীদের ভাঙচুর তাণ্ডবে সেখানে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নিতে নেতাকর্মীরা বেলা ৩টা থেকেই কাঁচপুর এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় সেখানে প্রচুর পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। নেতাকর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল গ্যাস নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছিলাম। পুলিশ প্রথমে আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়। পরে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের কাঁদানো গ্যাসে আমাদের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরূল ইসলাম আজাদসহ অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে তারা আবারো মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পিকেটিং শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার পর থেকে যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য ঠেকাতে ঘটনাস্থ্লসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।