আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
আফগানিস্তানে মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে জাতিসংঘে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে তালেবান। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার নারীদের প্রতি তালেবানের আচরণ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অভিযোগ আনা হয়।
বৈশ্বিক কোনো স্বীকৃতি না থাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না আফগানিস্তানের বর্তমান শাসক। তবে পূর্ববর্তী মার্কিন-সমর্থিত সরকারের নিযুক্ত একজন রাষ্ট্রদূত তাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে জানানো হয়েছে। ঐ সরকারকে ২০২১ সালে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল তালেবান।
বৈঠক পর্যালোচনার আগে জাতিসংঘের একটি নথির কিছু প্রশ্নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানতে চায়, জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ কীভাবে অপরাধীদেরকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতনের জন্য দায়ী করবে। ‘বিশেষ করে সেসব নারী এবং মেয়েরা যারা পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
এ সময় তালেবান শাসনের পর থেকে ‘হুমকি ও অপব্যবহারের বৃদ্ধি’র কথা উল্লেখ করে আফগানিস্তানে এলজিবিটিকিউ বা সমকামী ব্যক্তিদের অধিকার প্রচারের বিষয়েও আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বৈঠকে নারীদের প্রতি তালেবানের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ব্রিটেন ও বেলজিয়ামও। এই বৈঠকে বিশ্বের মোট ৭৬টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।