নাশকতার ৫ মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৩৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর পৃথক পাঁচ থানার নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৩৫  নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার পৃথক পাঁচটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

বংশাল থানার মামলাঃ
২০১৩ সালে রাজধানীর বংশাল থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৬১ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ১৫ জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মোহন, তাইজুদ্দিন ওরফে লম্বা তাইজু, শাহাজাহান, মাসুম ওরফে মাওয়া, ডলার ইকবাল, ইয়াকুব সরকার, হাজী মো. আদিল, মীর মোহাম্মাদ আলীসহ প্রমুখ।
দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৬ জনকে খালাসের আদেশ দেন আদালত। ২০১৩ সালে নভেম্বর মাসে বেআইনি সমাবেশ, হত্যার চেষ্টা, নাশকতার অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়।
তুরাগ থানার মামলাঃ
২০১৮ সালে তুরাগ থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ৯৩ নেতাকর্মীর প্রত্যেকের পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শেখ সাদীর আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রশিদ, আলম মিয়া, কামাল হোসেন, মোজাম্মেল, নুরুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন মনু, হালিম, বারী হুজুর, শাহ আলম, বাদশা, নেছার আহাম্মেদ টুটুল, আবু বক্কর সিদ্দিক, বশির, আমির, কবির হোসেন, খলিলুর রহমান, জলিল মিয়া, সরোয়ার হোসেন, মো. দুলাল মিয়াসহ প্রমুখ।
দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারায় ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৫৩ ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর তুরাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
রামপুরা থানার মামলাঃ
পাঁচ বছর আগে রাজধানীর রামপুরা থানার দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ১৩ জনের প্রত্যেকের দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ’র আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল কাদের, ডা. খান মতিউর রহমান, লোকমান খান, জহিরুল ইসলাম, মাইনউদ্দিন, আহসান হাবিব, হাফেজ আব্দুল কাইউম, ইকবাল কবির নিপু, সাখাওয়াত হোসেন রিফাত, মিজানুর রহমান গালিব ওরফে গালিব হাসান ওরফে চৌধুরী ইভান, আজিজুল্লাহ ভূঁইয়া, সালেহ আহমেদ ও লুৎফর রহমান।
দণ্ডবিধি আইনের ৩৫৩ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মিরপুর থানার মামলায় ৮ জনের কারাদণ্ডঃ
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা নাশকতার মামলায় আট বিএনপি নেতাকর্মীকে দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসাথে চলায় তাদের দুইবছর কারাভোগ করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশে দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. ইমরান, মো. আ. কুদ্দুস, মো. মিজানুর রহমান, আসিফ হোসেন রানা, মো. আমির হোসেন, মো. কামরুল ইসলাম, মো. আক্তার হোসেন ও মানিক দত্ত। এদিকে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিরপুর এলাকায় বিএনপির মিছিলে নাশকতার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। এ মামলার চার্জশিটভ্ক্তু আসামি ছিলেন ১০ জন।
হাজারীবাগ থানার মামলায় ৬ জনের কারাদণ্ডঃ
১৩ বছর আগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে দুই ধারায় দেড় বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। মামলাটিতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত বাকি ৫১ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আব্দুল লতিফ, মো. আজিজ, মো. ছনাউল্লাহ, মো. হাসু মিয়া, স্বপন ও আবুল খায়ের লিটন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের নভেম্বরে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় এ মামলাটি করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।