সাইফুল ইসলাম:
চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা-সহিংসতার ঘটনায় জড়িত যুবদলের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। এরা হলেন- আতাউর রহমান (৪০), নাজির হোসেন (৪২), মাসুদ মিয়া (৪০), ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের আহ্বায়ক দিল গণি (৩২), ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সদস্যসচিব মো. সিদ্দিক হাওলাদার (৩২), ৫৬ নম্বর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর (৩১), ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হাওলাদার (৩০) ও একই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা মো. শাহীন (৩২)। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদে গাজীপুর ও লালবাগ কিল্লার মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আতাউর রহমানকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিবির ডিসি মশিউর রহমান বলেন, গ্রেফতার আতাউর হরতাল ও অবরোধ সফল করার জন্য যুবদলের গঠিত ৮টি টিমের একটির টিম লিডার এবং মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি মির্জা আব্বাস, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, খন্দকার এনাম এবং রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধানে থেকে বিভিন্ন সময় তাণ্ডব চালিয়েছে।
তিনি বলেন, সবুজবাগ এলাকায় কাজ করলেও ২৮ অক্টোবর পরবর্তী হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণসহ নানা ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য ডিএমপির কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ এবং চকবাজার থানা এলাকায় তাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। আতাউরের তত্ত্বাবধানে থেকে বৃহত্তর এই তিন থানার যুবদল কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে অপকর্ম করে আসছিল।
গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, রাতে কিল্লারমোড় বাজার মসজিদের পেছন থেকে মিছিলের প্রস্তুতির সময় বাকি ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নাজির হোসেন (৪২) সভাপতি ও মাসুদ মিয়া (৪০) লালবাগ থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।