ক্রীড়া ডেস্ক:
মার্চে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক নাহিদ রানার। সিলেটে গতির ঝলক দেখান তিনি। লাইন-লেন্থ কিছুটা এলোমেলো হলেও তুলে নেন ৫ উইকেট। পেস বোলারদের স্বর্গ বলে বিবেচিত পাকিস্তানে আগুন ঝরানো বোলিং করেন তিনি। পাকিস্তানের ভক্তদের মন জয় করেন।
ভারত সিরিজে তাঁকে একাদশে না দেখে বিস্মিত হয়ে পাকিস্তানি ভক্তরা সোশ্যালে লিখেছেন, সেই ‘গতিদানব’ নাহিদ কই! এবার ওয়ানডে অভিষেকে ডানহাতি এ পেসারের গতিতে মুগ্ধ হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ।
নাহিদ তাঁর প্রথম ওভারে এসে ৬ রান দেন। তবে ঘণ্টায় ১৪৮.৭ কিলোমিটার গতির বল করে ভয় ধরাতে তিনি পারদর্শী এমন বার্তা দেন। পরের ওভারে রহমানুল্লাহ গুরবাজ তাঁর বল চেয়ে চেয়ে দেখে মেডেন ওভার দেন। নাহিদ দলের অষ্টম ও নিজের চতুর্থ ওভারে এসে ঘণ্টায় ১৫০.৯ কিলোমিটার গতির আগুনে গোলা ছোড়েন। ওয়ানডেতে যা দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গতির বোলিং। ওই ওভারের চতুর্থ বলে ১৪৭ বেগের বলে সাদিকউল্লাহ আতালকে বোল্ড করেন।
এরপরই বিশপের টুইট, ‘বাংলাদেশকে একটু তৎপর হতে হবে। সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞ এবং একজন ডায়েটিশিয়ান নিয়োগ করা উচিত। বিশেষ করে এই নাহিদ রানা এবং তাদের পেস বোলিং আক্রমণকে একসূত্রে গাঁথার জন্য। খুবই মুগ্ধকর গতি।’
বোলিং আক্রমণে মুস্তাফিজুর রহমানের পরে দেশের সেরা আবিষ্কার মনে করা হয় নাহিদকে। ঠিকঠাক পরিচর্যা পেলে বড় অস্ত্র হতে পারেন, সেই বার্তা ভালো মতো দিতে পেরেছেন তিনি। বিশপ তাই নাহিদসহ তাসকিন, হাসান মাহমুদ, শরিফুল, মুস্তাফিজ, এবাদত হোসেনদের মতো পেসারদের যতœ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।