নিজ্জর হত্যা নিয়ে কানাডার প্রতিবেদনে ভারতের তীব্র নিন্দা

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

কানাডায় বসবাসকারী খলিস্তানি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা নিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এর আগে কানাডিয়ান সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, নিজ্জরকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাদের এই দাবিকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন জয়সওয়াল। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।অজ্ঞাত কানাডিয়ান কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গ্লোব অ্যান্ড মেইলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুধু মোদী নয়, নিজ্জর হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। এর জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘কানাডার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এই ধরনের প্রতিবেদনের তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিই না। এই ধরনের ভুয়া প্রচারণা ভারত-কানাডার সম্পর্কে আরও তিক্ততা বাড়াবে।’

কানাডিয়ান নাগরিক এবং খালিস্তানপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরকে গত বছরের জুন মাসে হত্যার শিকার হয়। এরপর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দিল্লির ‘এজেন্টদের’ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।তবে দিল্লিও শুরু থেকেই দাবি করে এসেছে, এই মামলায় দিল্লির কোন সংযোগ নেই।

নিজ্জর হত্যার ঘটনায় প্রমাণ দেখতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু এখন পর্যন্ত দিল্লির হাতে কোনও প্রমাণ তুলে দেয়নি জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।

এই মামলার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দিল্লির দাবি, রাজনৈতিক কারণেই ভারতের ঘাড়ে এই দোষ চাপাচ্ছেন ট্রুডো।

গত মাসে কানাডা অভিযোগ করে যে, ভারতের হাই কমিশনার সঞ্জয় বর্মা এবং কয়েকজন কূটনীতিক এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। কানাডা এই কূটনীতিকদের দেশ থেকে বহিষ্কার করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে, ভারতও কানাডার চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স স্টুয়ার্ট হুইলার এবং আরও পাঁচজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।