নিজস্ব প্রতিবেদক:

অফিস সহায়ক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণা করায় সাতজনকে পুলিশে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি। প্রতারণা করা ৭ পরীক্ষার্থী হলেন- সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগর গ্রামের ফজর আলী সানার ছেলে হাফিজুর রাহমান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানার ভাংনাদী গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে ইরাম মিয়া, নীলফামারীর ডোমার থানার পূর্ব কেতকীবাড়ী গ্রামের সোহরাফ আলীর ছেলে রিপন ইসলাম, রংপুর সদর থানার চন্দনপাট গ্রামের বরেন চন্দ্রের ছেলে পলাশ চন্দ্র, রংপুরের মিঠাপুকুর থানার ভক্তিপুর গ্রামের মোজাফফর রহমানের ছেলে মো. তারিকুজ্জামান, বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার ফুলবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের মো. লোকমান হোসেনের ছেলে মো. নুর মোহাম্মদ, নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার গোলাহাট গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ইসি জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অফিস সহায়ক পদে গত ৩১ মার্চ ও ১৯ মে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় কতিপয় পরীক্ষার্থী প্রতারণার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নোত্তরে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের বক্তব্যের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদের হাতের লেখা পরীক্ষা করা হয়। তাদের হাতের লেখার সঙ্গে উত্তরপত্রের হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন।

ইসি আরও জানায়, এই সাতজনকে শেরেবাংলা নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।