স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
২০১১ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন গৌতম গম্ভীর। ক্যারিয়ারে অনেক সাফল্য পেলেও শুরুর দিকটা সহজ ছিল না গম্ভীরের। তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনার পেছনে বড় অবদান থাকে নির্বাচকদের। প্রতিভা থাকলেও গম্ভীরের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং নির্বাচকরাই।
সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ইউটিউব পডকাস্টে এই সাবেক ভারতীয় ওপেনার জানিয়েছেন সেই কঠিন সময়েও কারো সঙ্গে আপোষ করেননি তিনি। গম্ভীর বলেন, ‘আমি তখন খুব ছোট, ওই ১২ বছর বয়স হবে, তখন প্রথমবার অনূর্ধ্ব ১৪ প্রতিযোগিতায় চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমাকে দলে নেয়া হয়নি কারণ আমি নির্বাচকের পা ধরিনি। সেদিন থেকেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি কোনোদিন কারো পা যেমন স্পর্শ করব না, তেমন আমি কাউকে আমার পাও ছুঁতে দেব না।’
গম্ভীরের বাবা এক জন ব্যবসায়ী। পরিবারে কখনও অর্থাভাব ছিল না। সেই কারণে অনেকেই মনে করতেন যে, গম্ভীরের ক্রিকেট খেলার প্রয়োজন নেই। গম্ভীর বলেন, ‘আমি যখনই আমার ক্যারিয়ারে কখনও ফেল করতাম, সেটা অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৯ হোক অথবা রঞ্জি ট্রফি, সকলেই আমায় বলত এত ভালো পরিবার থেকে উঠে এসেছো, তোমার ক্রিকেট খেলার দরকার নেই। তোমার হাতে এত বিকল্প আছে, বাবার ব্যবসায় যোগ দাও।’
এই সাবেক ওপেনার আরও বলেন, ‘মানুষ বুঝতে পারত না যে, আমি তাদের থেকে অনেক বেশি ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধ। মানুষের ওই চিন্তাধারাকে বদলাতে চেয়েছিলাম, এখন যখন আমি সেটা করতে পেরেছি, বাকি আর কিছুই যায় আসে না। আমার কাছে সব থেকে কঠিন ছিল, কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সেই চিন্তাধারা বদলানো।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে সুযোগ না পাওয়া গম্ভীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের অন্যতম সফল ওপেনার। তিনি ৫৮টি টেস্ট, ১৪৭টি ওয়য়ানডে ম্যাচ এবং ৩৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গম্ভীর সব মিলিয়ে ১০,৩২৪ রান করেছেন।