নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট:

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করছেন। অভিবাসন, বাণিজ্য, সংস্কৃতি সমস্যা এবং পররাষ্ট্রনীতিতে তাদের অবস্থান বিপরীত মেরুতে। পরবর্তী চার বছরের জন্য যিনিই আমেরিকার সরকার গঠন করতে পারবেন, তিনি দেশটির ফেডারেল আদালতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন সব পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবেন; যা কয়েক প্রজন্মের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রাম্প এখন যে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তা এক দশক আগেও বেশ আলাদা ছিল। এখন দলটি শিল্পশ্রমিক এবং নিম্ন আয়ের ভোটারদের কাছে অনেক বেশি আবেদনময়ী। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির ভিত্তি এখনও তরুণ ভোটার এবং বিভিন্ন বর্ণের নাগরিকরা। তবে এটি এখনও ধনিক শ্রেণি এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষিতদের ওপর বেশি নির্ভরশীল।
এবারের ফলাফল কীভাবে আমেরিকার রাজনীতিতে টেকটোনিক পরিবর্তনের প্রমাণ দিতে পারে, গত আট বছরে শুধু আংশিকভাবে তা উপলব্ধি করা গেছে।

মার্কিন রাজনৈতিক মানচিত্র নতুন আকার পাচ্ছে। এই পরিবর্তন ভবিষ্যতের নির্বাচনে যে কোনো একটি দলকে বিশেষ সুবিধা দিতে পারে।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়– ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে রিপাবলিকান পার্টিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে দেখা হতো। সে সময় তারা ধারাবাহিকভাবে ইলেকটোরাল কলেজে বিজয়ী হওয়ার জন্য যথেষ্টসংখ্যক রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত।

এবারের নির্বাচন উভয় দলের জন্য ৫০-৫০ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। তবে এর মানে এই নয় যে এটিই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রাজনীতিতে নতুন স্বাভাবিকতা।