নির্মাণাধীন ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান

প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি পাঁচতলা ভবনের কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়ে গেছেন ঠিকাদার। তিন বছর ধরে ভবনটির কাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় শ্রেণির সংকটে নির্মাণাধীন ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮১ টাকা । দরপত্রে কাজটি পায় বরিশালের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের ১২ জুলাই কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ভবনের কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়ে গেছেন ঠিকাদার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখ গেছে, পাঁচতলা ভবনের তিনতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলেও চারপাশে কোনো নিরাপত্তা দেওয়াল নেই। ভবনের চারপাশে বের হয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. জিয়াদ হোসেন বলেন, ভবনের চারপাশে কোনো দেওয়াল না থাকায় আমাদের ক্লাস করতে খুব ভয় হয়। এছাড়াও একটু জোরে বৃষ্টি হলে আমরা ভিজে যাই। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম লিয়া বলেন, পুরোনো ভবন ভাঙার সময়ে শৌচাগারও ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন ভবনে শৌচাগারের কাজ শেষ হয়নি। এতে আমরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মস্তফা বলেন, তিন বছর ধরে কাজ বন্ধ। ঠিকাদারের কোনো খোঁজ নেই। বিষয়টি লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। ভবন নির্মাণ বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষের জন্য যে আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছে, তাও এখন নষ্ট হওয়ার পথে। সবচেয়ে সমস্যা হয় বর্ষা মৌসুমে। বৃষ্টির পানিতে শিক্ষার্থীরা ভিজে যাওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হয়।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশাফিকুর রহমান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের জন্য সুপারিশ করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অসমাপ্ত কাজ শেষ করা হবে।