নীলফামারীতে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ দিন পর উঁকি দিল সূর্য
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী
ঘন কুয়াশার পারদ ভেঙে দীর্ঘ ৯ দিন পর সূর্য উঁকি দিয়েছে নীলফামারীর আকাশে। তবে তেমন তেজ না থাকলেও সূর্য দেখে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। সকাল থেকে নীরফামারীর আকাশে সূর্য দেখতে পেয়ে স্বাভাবিক কাজে ফেরার আশা জেগেছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ডিমলা আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করলেও আজ ঘন কয়াশা না থাকায় সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে সূর্যের তেজ না থাকায় হিমশীতল বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
এমন বৈরি আবহাওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। জেলা সদরের বড়বাজার এলাকায় কথা হয় চায়ের দোকদার শামীম হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রোদ ওঠে না। ঠান্ডার কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। তবে আজ নীলফামারীর আকাশে সূর্য দেখে মনে হচ্ছে এই দুর্দশা খুব দ্রুত কেটে যাবে।
সদর উপজেলার বারাই পাড়ার কৃষক রেজোয়ান হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় ১০ দিন ধরে শীতের প্রকোপটা বেশি। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আজ সূর্য দেখে মনে হচ্ছে এই শ্রমিক সংকট আর থাকবে না।
উকিলের মোড় এলাকার দিনমজুর ছাইদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠান্ডার পাশাপাশি যদি রোদ থাকে তাহলে সেই ঠান্ডা কাটিয়ে কাজ করতে খুব একটা সমস্যা হয় না।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। কয়েক দিন থেকে নীলফামারীর তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। এরকম তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কম।
নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আউয়াল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন যেখানে চার থেকে পাঁচজন শিশু ভর্তি হতো সেখানে বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ জন ভর্তি হচ্ছে।