নিজস্ব প্রতিবেদক:

নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সাজ্জাদুল হাসান। শুক্রবার (২১ জুলাই) আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

এর আগে গত ২০ ও ১৯ জুলাই দুদিন নেত্রকোনা-৪ আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের মধ্য ফরম বিক্রির কার্যক্রম চলে। মনোনয়ন পেতে আগ্রহী মোট ৯ জন ফরম সংগ্রহ করেন। সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সাজ্জাদুল ছাড়াও নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতা শফী আহমেদ, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম বাকী চৌধুরী, মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ ইকবাল, মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটি সাবেক সদস্য মমতাজ হোসেন চৌধুরী, এম মঞ্জুরুল হক, রোমান মিয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আলী আতহার খান প্রমুখ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

জানা গেছে, গত ১১ জুলাই নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

নির্বাচন কমিশন এই শূন্য আসনের উপনির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী আগামী ২ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, সাবেক এই জ্যেষ্ঠ সচিব আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য। এর আগে তার বর্ণাঢ্য কর্ম জীবনে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কক্সবাজার জেলা ও সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, সাজ্জাদুল হাসানের বাবা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সাজ্জাদুল হাসানের বাবা মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টা নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে আখলাকুল হোসাইন নেতৃত্বে মোহনগঞ্জের লোহিয়ার মাঠে প্রথম প্রতিবাদ মিছিল হয়। সেজন্য তাকে কারাঅন্তরীণ করা হয়েছিল।