নোয়াখালীতে প্রস্তুত ৪৮৬ আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০২ মেডিকেল টিম

প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় নোয়াখালীতে হেল্পলাইন চালুর পাশাপাশি ৪৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও নোয়াখালীর জেলার অধীন সব দপ্তরের কর্মকর্তা -কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে নিজ সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নোয়াখালীর জেলার অধীন সব দপ্তরের কর্মকর্তা -কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ৪৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১০২টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন (০১৭০০-৭১৬৬৯৬)।
জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ সভায় ঘূর্ণিঝড় দানার ক্ষতি এড়াতে নোয়াখালীতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত অবশ্য নোয়াখালীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপকূলে ৮ হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার সব সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৪৮৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নগদ টাকা, চাল ও গম মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের ১০২ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।

খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ আরও বলেন, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছি। ঘূর্ণিঝড় দারা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা, প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সবাই একে অন্যের পাশে থাকবো। যদি মানুষজন সোচ্চার থাকে তাহলে যেকোনো পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করতে পারবো। এক কথায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা দোয়া করি যেন আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। কোনো ধরনের অসুবিধা হওয়া বা হওয়ার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত থাকব।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্যোগের আগে ও পরে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেনো নিরাপদ থাকে সেই জন্য পুলিশ পাহারায় থাকবে। দুর্যোগ কবলিত ৪ থানায় ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান খানের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাইল, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আখিনূর জাহান নীলাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যমকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।