ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশ গঠনের প্রতিটি মৌলিক ভিত্তির সঙ্গে ন্যায়বিচার শব্দটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির দেশ গঠনের মৌলিক ভিত্তি হলো শান্তি, স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন। এগুলোর প্রতিটির সঙ্গে ন্যায়বিচার শব্দটি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।
আজ রোববার (১৮ জুন) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সদ্য পদায়ন করা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৫১তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, গ্রীক দার্শনিক প্লেটোর মতে ন্যায়বিচার চারটি নাগরিক গুণাবলির একটি। অন্যগুলো হলো প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সাহস। প্রত্যেক বিচারকের এসব গুণাবলি থাকা দরকার। কারণ তাদের কলম দিয়ে নিত্যদিন ন্যায়বিচারের হাজারো বাণী ঝড়ে।

ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, লুকাস-এর মতে ন্যায়বিচার অনুগ্রহ, উদারতা, কৃতজ্ঞতা, বন্ধুত্ব এবং সহমর্মিতার থেকে পৃথক।

দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারকদের প্রথম পদায়ন করার পর ম্যাজিস্ট্রেসি ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশেষ কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। এবারই প্রথম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সদ্য পদায়নকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্টোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য এ ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করেছে, যা চলমান থাকবে।