প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারীতে নাজুক পরিস্থিতি চীনের। একদিকে শত শত মানুষের মৃত্যু, আরেকদিকে বিশ্বে আর্থ-সামাজিকভাবে প্রায় একঘরে হয়ে পড়েছে দেশটি।
চীনে এ ভাইরাসে বুধবার আরও ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার। এ ছাড়া আক্রান্ত ৮৯২ জন সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল ছেড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখনও তেমন কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই এই রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে সতর্ক থাকা এবং এই রোগ প্রতিরোধের উপায় জানা।
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, পকেটের রুমালেও লুকিয়ে থাকতে পারে এই ভাইরাস। তাই একখণ্ড কাপড় ব্যবহারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, আলনায় পড়ে থাকা চারকোনা কাপড়টায় লুকিয়ে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। এই কাপড় হতে পারে করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর।
তবে শীতের সময়ে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তাই এই ভাইরাস শনাক্ত করা কঠিন।
তবে এই রোগ ছোঁয়াচে হওয়ায় এ প্রতিরোধে চিকিৎসকরা বলছেন, সবার আগে নাক ঝাড়ার রুমাল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ঘনঘন সর্দি ও কাশি হলেই কফ উঠে আসা, সঙ্গে জ্বর এসবই করোনা ভাইরাসের উপসর্গ হতে পারে।
এ বিষয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস বলেছেন, নাক ঝেড়ে অনেকেই তা রেখে দেন। পরে সে রুমালে লেগে থাকে জীবাণু। ওই রুমাল ভুলবশত কেউ ব্যবহার করলে তার থেকেই ছড়াতে পারে অসুখ। এর চেয়ে ন্যাপকিন ব্যবহার করা অনেক নিরাপদ বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, দেখা হলেই হ্যান্ডশেক করো, গালে গাল ঠেকিয়ে অভিনন্দন চুম্বন-আপাতত এই ধরনের পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে বিপজ্জনক বলছেন চিকিৎসকরা। এসব কারণে ছড়াতে পারে এ ভাইরাস।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন