পঞ্চগড়ে দিনে গরম রাতে শীত, বেড়েছে শীতজনিত রোগ

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

শীতের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করলেও এখনো শুরু হয়নি শীতের তীব্রতা। তবে কয়েকদিন ধরে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত পড়ছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বাড়ছে। তবে সকাল হলেই কেটে যাচ্ছে শীত। চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। সকাল থেকে কড়া রোদের কারণে বেশ গরম অনুভূত হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। কিন্তু সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আবহাওয়াবিদ রাসেল শাহ।তিনি আরও বলেন, ‘হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার প্রভাবে তাপমাত্রা কমে গেছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডার বৈরি আবহাওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে বয়স্ক আর শিশুরা সর্দি, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

পঞ্চগড়ের স্থানীয়রা জানান, দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি মিললেও রাতের শীতে কাবু হতে হচ্ছে। বিকেলের পর শীতের পোশাক পরতে হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম আর রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার এই তারতম্যে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন তিন-চারশ রোগী জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিশু ও বয়স্ক রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।