পদত্যাগ করলেন কুবি উপাচার্য

প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৪

কুমিল্লা  প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার সকালে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির সমকালকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমাকে ভিসি স্যারের পদত্যাগ পত্র মেইল করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্যের পদ থেকে এই পত্রের মাধ্যমে অদ্য অপরাহ্ণে পদত্যাগ করিতে আপনার নিকট পদত্যাগপত্র পেশ করিলাম। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক এই কামনা করছি। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমাকে বাধিত করিবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করি। যোগদানের পর আমি আমার অভিজ্ঞতা, সততা, নৈতিকতা, দক্ষতা ও আইন মেনে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করি। এজন্য প্রথমেই আমি উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়ন, মানব কল্যাণ, সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ভিশন তৈরি করি। এই ভিশন অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করি এবং শিক্ষা, শিক্ষণ ও গবেষণার সংস্কৃতি ও পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে রূপান্তর করার জন্য অনেক নূতন ধরনের স্কিম গ্রহণ করি।

এদিকে উপাচার্য আবদুল মঈনের বিরুদ্ধ বিস্তর অভিযোগও রয়েছে। গত ২ বছরের মধ্যে বিতর্কিত নিয়োগ, ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি, আইন না মেনে বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ, ঢাকার গেস্ট হাউস ব্যক্তিগতভাবে কুক্ষিগত করে রাখা, নিয়ম না মেনে গাড়ি ক্রয়, তথ্য গোপন করে উপাচার্য হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত বেতন ও ইনক্রিমেন্ট নেওয়া প্রভৃতি। এছাড়া গত ২৮ মার্চ হত্যা মামলার আসামিদের নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা করার অভিযোগ রয়েছে অধ্যাপক মঈনের বিরুদ্ধে। এ সময় তিনি নিজেই একজন শিক্ষককে কনুই দিয়ে ঘুষি দেন। ওই দিনই শিক্ষক সমিতি তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন, যা এখনও চলমান। এছাড়া বিভিন্ন প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে তার বিরুদ্ধে।