পরীক্ষার কক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলার প্রতিবাদ করাই প্রাণ হারালো রিয়াজ

প্রকাশিত: ৮:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
পরীক্ষার কক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলার প্রতিবাদ করায় বন্ধুর হামলায় প্রাণ হারালো রাজধানীর বাড্ডা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সালমান খান রিয়াজ (১৬)। এ ঘটনায় নিহতের বাবার দায়ের করা মামলায় পুলিশ একমাত্র আসামি রাসেলকে (১৬) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রাসেল এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত তাকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।
নিহতের বাবা শাহ আলম খান বকুল বলেন, তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা। বাড্ডার ময়নারবাগ মসজিদ সংলগ্ন চৌধুরী ভিলার দোতালায় সপরিবারে থাকেন। তার ছোট ছেলে রিয়াজ বাড্ডা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত ১৩ ডিসেম্বর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ইসলাম ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার কক্ষে রাসেল উচ্চস্বরে কথা বলছিল। এ সময় খাতায় লিখতে মনযোগ নষ্ট হচ্ছে, এমন কথা তুলে রিয়াজ প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন ক্লাশের শিক্ষক রাসেলকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন এবং পরীক্ষা দিতে বলেন।
তিনি আরো বলেন, মহান বিজয় দিবসের দিন বিকেল ৪ টার দিকে রিয়াজকে তাদের বাসার সামনে একা পেয়ে রাসেল তার ওপর হামলা চালায়। কিল ও ঘুষি মারার পর রিয়াজকে সজোরে ধাক্কা দিলে পাশের একটি দেয়ালে পড়ে মাথায় লেগে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা রিয়াজকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেফতার করে।
বাড্ডা থানার ওসি ইয়াসিন গাজী সবুজ বাংলাকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলার একমাত্র আসামি রাসেলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আদালতে রাসেল এ হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা জানিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ।
ওসি আরও বলেন, হত্যা মামলার তদন্ত কাজ শেষ। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলার চার্জশিট দেয়া হবে কি না-তা আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কারণ মামলার একমাত্র আসামি একজন কিশোর। সেক্ষেত্রে আদালত যেভাবে চার্জশিট দিতে বলবে, সে অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিট দিবে।