পশুর হাটের চৌহদ্দির বাইরে কোন পশু রাখা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম বলেছেন, কোন মতেই পশুর হাটের চৌহদ্দির বাইরে কোন পশু রাখা যাবে না। পশুবাহী ট্রাক কোন হাটে যাবে সে ব্যপারে ট্রাকের সামনে ব্যানার টানানো থাকবে। হাটে নেওয়ার জন্য গরু নিয়ে টানাটানি করা যাবে না। ব্যবসায়ীকে তার পছন্দমতো হাটে গরু নিয়ে যেতে দিতে হবে। এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করা, ঈদ জামাত ও ঈদ পরবর্তী সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত ঈদ-উল-ফিতরে আমরা ১ কোটি ৩০ লাখ লোকের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে পেরেছিলাম। এবারও প্রায় সোয়া কোটির মতো লোক ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ছাড়বে। আশা করি আমরা তাদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পারবো।
তিনি বলেন, গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেকটা টার্মিনালে পুলিশ ক্যাম্প থাকবে, থাকবেন মালিক সমিতির স্বেচ্ছাসেবক। ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সবকিছু মনিটর করে যাত্রী ও যানবাহনের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান এবং যানজট নিরসনে কাজ করবে পুলিশ। মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান না চালানোর জন্য বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিকে তিনি অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, কোন অবস্থায়ই যাত্রীদের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয়, সে ব্যপারে গণপরিবহনের মালিকগণ মনিটর করবেন। পাশাপাশি পুলিশও মনিটর করবে।
তিনি বলেন, ঈদের সময় ফাঁকা ঢাকায় থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকা ছাড়বেন তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ টাকা সঙ্গে নেয়া কিংবা নিরাপদ স্থানে রেখে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা মনিটরিং; বাস, রেল ও লঞ্চ স্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা; গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ ও গমনাগমন; বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নিরাপত্তা; ঈদ জামাত ও ঈদ পরবর্তী সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, রেলওয়ে পুলিশ, এপিবিএন, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জিএমপি, ঢাকা জেলা পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিওটিসি, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দউপস্থিত ছিলেন।