পাবলিশহার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ময়ূরপঙ্খির মিতিয়া ওসমান

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

পুস্তক প্রকাশনা পেশায় যুক্ত সারা বিশ্বের নারীদের প্ল্যাটফর্ম পাবলিশহার প্রবর্তিত পাবলিশহার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের সেরা ‘ইমার্জিং লিডার’ নির্বাচিত হয়েছেন ময়ূরপঙ্খির প্রকাশক এবং আগামী প্রকাশনীর নির্বাহী পরিচালক মিতিয়া ওসমান।সোমবার (৮ এপ্রিল) মিতিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন পাবলিশহারের প্রতিষ্ঠাতা, ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বদুর আল কাসিমি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোলোনিয়া চিলড্রেন’স বুক ফেয়ারের পরিচালক এলেনা পাসোলি।

অনন্য নেতৃত্ব সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার সক্ষমতার বিবেচনায় সারা বিশ্বের প্রকাশনা জগতের উদীয়মান তারকাদের মধ্য থেকে সর্বসম্মতিক্রমে মিতিয়াকে বেছে নেন নির্বাচকমণ্ডলী। ইতালির বোলোনিয়ায় আন্তর্জাতিক শিশুতোষ বইমেলার ৬১তম আসরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনটি শাখায় পাবলিশহার কর্তৃক পাবলিশহার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

ইমার্জিং লিডার শাখার বাছাইকৃত সংক্ষিপ্ত তালিকায় মিতিয়া ছাড়া আরও ছিলেন ব্রাজিলের ‘শি পাবলিশেস পডকাস্টে’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ফেরনান্দা বালেজিনি ফেরেইরা এবং যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ফ্লিপের সহ-পরিচালক ও ‘কলিন্সে’র বিপণন নির্বাহী ক্যাসি রকস।

গত ১৭ মার্চ লন্ডন বইমেলায় ভিডিওবার্তার মাধ্যমে তিন শাখায় ৯ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেন বদুর আল কাসিমি। এ পুরস্কারের জন্য বিশ্বের ৩০টি দেশ থেকে মোট ১১৩টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। পাবলিশহার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ এবং ‘ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ শাখায় পুরস্কার জিতেছে যথাক্রমে জ্যামাইকার ‘কার্লং পাবলিশার্সে’র চেয়ারপার্সন শার্লি ভন কারবি এবং জার্মানির ‘পালোমা পাবলিশিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশনা পরিচালক অ্যান ফ্রাইবেল।

সারা বিশ্বে প্রকাশনা শিল্পের গভীরে প্রোথিত নারী-পুরুষ বৈষম্য কাটিয়ে ওঠাকে আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডায় পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে নারী প্রকাশক ও প্রকাশনা কর্মীদের প্ল্যাটফর্ম পাবলিশহার। প্রকাশনা শিল্পে নারীদের সাফল্য উদ্‌যাপন; বৈচিত্র্য, সমতা ও সকলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে এ বছর থেকে প্রবর্তন করা হয়েছে পাবলিশহার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড।