পার্লারে সেজে মার্কেটে গিয়ে টাকা-মোবাইল হাতিয়ে নিতো মুক্তা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সাইফুল ইসলাম:
পার্লারে সেজে মার্কেটে গিয়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে টাকা-মোবাইল হাতিয়ে নিতো মুক্তাবেগম (৪০)। ছিনতাইয়ের এমন অভিযোগে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
তিনি জানান, গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার ১০ নম্বর সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে মুক্তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলছে, মুক্তা প্রতিবার ছিনতাই করার আগে পার্লারে গিয়ে সাজেন। যাতে কারো সন্দেহ না হয়। এরপর মার্কেটে গিয়ে নিজের টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে কৌশলে চুরি-ছিনতাই করে নগদ টাকা ও দামী মোবাইল সেট হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিতো ওই নারী।
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মুক্তা বেগম তালিকাভুক্ত নারী ছিনতাইকারী। তিনি মার্কেটে গিয়ে কোনা মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেন। এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল, টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। তিনি প্রথম তার মায়ের কাছ থেকে চুরি শেখেন। এরপর মায়ের সঙ্গে থেকেই টুকটাক চুরি করতেন। কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে পরলে নিজেই দল গড়েন মুক্তা। সঙ্গে একজনকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে তিনি পার্লারে সেজে নিজেকে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান দাবি করে চুরির অভিনব কৌশল গ্রহণ করতেন।
ওসি আরও বলেন, প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন মুক্তা। পার্লারের সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করতো না তাকে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছিনতাই করতেন মুক্তা। গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় একই কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক মেয়ের সাথে পায়ে পড়ে ঝগড়া বাধিয়ে তার মোবাইল ও টাকাসহ ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। কিন্তু মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোক এসে তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। মুক্তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি সাতবার গ্রেফতারও হন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে তাকে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।