পাহাড়ের চূড়ায় জমি কিনে আস্তানা করেছে ইমাম মাহমুদের কাফেলা: সিটিটিসি প্রধান

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২৩

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

ইমাম মাহমুদের কাফেলা নামের নতুন জঙ্গি সংগঠন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার টাট্টিউলি গ্রামে জমি কিনে আস্তানা তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘এই জঙ্গি আস্তানা থেকে আমরা বিপুল সংখ্যক আলামত পেয়েছি। যেটা আমাদের পরবর্তী অভিযানে কাজে দেবে। এরকম একটি নির্জন এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় জমি কিনে জঙ্গি আস্তানা তৈরি করে সদস্যদের হিজরতের নামে এখানে এনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। আমরা অঙ্কুরেই তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য যারা এর সঙ্গে জড়িত- বেশ কিছু আলামত আমরা পেয়েছি। এটা নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন। এর আগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা গেছে, এই সংগঠনের নাম ইমাম মাহমুদের কাফেলা। এই সংগঠনের মূল ব্যক্তির নামও আমরা পেয়েছি। আশা করি তাকে পেয়ে যাবো।’


জানা গেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে টাট্টিউলি গ্রামের বাইশালীবাড়ি এলাকার ওই বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে সিটিটিসি। শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল ৭টায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে। তাদের সঙ্গে তিন শিশুও রয়েছে।

জেলা পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানে কোনও হতাহতের ঘটনা ছাড়াই চার পুরুষ ও ছয় নারী জঙ্গিকে আটক করা হয়। তাদের সঙ্গে তিন শিশু রয়েছে। অভিযানে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে। সেখান থেকে ২.৫ কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, কমান্ডো বুটসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি, ছুরি-রামদাসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র এবং নগদ তিন লাখ ৬১ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানটি শেষ হয়েছে।

আটক অভিযুক্তরা হলেন- সাতক্ষীরার তালার উপজেলার নলতা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০), তাদের মেয়ে হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০), কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার কালনার আবুল কাশেমের ছেলে হাফিজ উল্লাহ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকার রসুলপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২২), তার স্ত্রী মেঘনা (১৮), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রাফিউল ইসলাম (২২), পাবনার আটঘরিয়ার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী শাপলা বেগম (২২), নাটোরের চাঁদপুর গ্রামের সোহেল তানজীম রানার স্ত্রী মাইশা ইসলাম (২০) ও বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিজবলাই গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৮)। তাদের সঙ্গে তিন শিশু রয়েছে। তাদের বয়স ছয় বছরের নিচে।

জেলা পুলিশ সুপার মনজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। সঙ্গে তিন শিশু রয়েছে। তবে প্রেস ব্রিফিং করে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।