সাইফুল ইসলাম:
সন্ধ্যা নামতেই রাস্তায় নেমে যায় সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাইচক্র। রাত যত গভীর হয়, তাদের তৎপরতাও আরও বেড়ে যায়। সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরে বেড়ায় রাজধানীর নির্জন প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে। সুযোগ পেলেই হামলে পড়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের ওপর। কয়েক মিনিটেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে দ্রæত প্রাইকেটকার নিয়ে সটকে পড়ে। মিশন শেষে পরিবর্তন করে পুরনো রুটও। গত কয়েক মাসে অনেকগুলো ছিনতাই বা দস্যুতার ঘটনা ঘটিয়েছে এ চক্রটি। তাদের ধরতে ২০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কারের ঘোষণাও দেওয়া হয়। অবশেষে গতকাল সোমবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ধানমন্ডি থেকে ধাওয়া করে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি প্রাইভেটকারসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। এরা হলেন- মো. নুর আলম হাবু ও মো. আলমাস। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১টি স্মার্টফোন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার ও ২ চাপাতি জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে হাজারীবাগ থেকে পান্থপথের নিজ বাসার উদ্দেশে রিকশাযোগে রওনা দেন দুজন। রাত দেড়টার দিকে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের পেছনে ওয়াসার অফিসের সামনে একটি প্রাইভেটকার তাদের গতিরোধ করে। প্রাইভেটকার থেকে ৩ ছিনতাইকারী নেমে চাপাতির ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে দুটি স্যামসাং মোবাইল ও ১২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভিকটিমদের চিৎকারে ধানমন্ডি থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিএমপি কন্ট্রোল রুমকে অবগত করে। টহল পুলিশ ছিনতাইকারীর পেছনে ধাওয়া করে। পরবর্তী সময়ে তারা ছিনতাইকারীদের গাড়ি ধাওয়া করে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে টহল পুলিশের সহায়তায় দুই ছিনতাইকারীকে গাড়িসহ গ্রেফতার করে।
ড. খ. মহিদ উদ্দিন আরও জানান, অন্য দুইজন ছিনতাইকারী পালিয়েছে। পলাতক ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ চক্রে এখন পর্যন্ত ৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের সবার নামে অস্ত্র আইন, দস্যুতা ও মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।