পুরান ঢাকার লালবাগের বেড়িবাঁধে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে সর্বস্ব খোয়ালেন এক ব্যক্তি

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩

আমিনুল ইসলাম বাবু:
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগের বেড়িবাঁধের নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ ঢালে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন মো. রুহুল আমিন (৫৯) নামের এক ব্যক্তি। প্রতারকরা তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে নগদ টাকাসহ সর্বস্ব লুটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন অচেতন ব্যক্তির ছেলে ফয়সাল আহমেদ।
তিনি বলেন, আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লালবাগের নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধের বড় মসজিদ ঢালে এ ঘটনা ঘটে।


ফায়সাল আহমেদ বলেন, আমার বাবা রুহুল আমিন তিনদিন আগে চাচা সাইফুল ইসলামের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ঢাকার লালবাগে আমার বাসায় আসেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চাচার অপারেশনের জন্য সংগ্রহ করা টাকা নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার সময় অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়েন। অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা কৌশলে আমার বাবাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতন কওে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল সেট লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে অচেতন উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে পাকস্থলী ওয়াশ করে ঢামেক হাসপাতাল-২ এর নতুন ভবনের মেডিসিন বিভাগের একটি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছি। তিনি আরও বলেন, আমার চাচা সাইফুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেলের ভর্তি রয়েছেন। তার অপারেশন হয়েছে। চাচার চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন ছিল, তাই আজ আমার বাবা রুহুল আমিন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে তার (চাচা) কাছে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত কওে নিউজ পোস্টকে বলেন, লালবাগের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নবাবগঞ্জ বড় মসজিদের ঢালে রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। প্রতারকরা তার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে বলে আমাদেও জানিয়েছেন তার ছেলে ফয়সাল আহমেদ। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনেন। এরপর তাকে পাকস্থলী ওয়াশ দিয়ে নতুন ভবনের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক লালবাগ থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।